বরুড়া প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বরুড়ায় শুক্রবার বিকাল চারটায় গালিমপুর ইউনিয়নের ধনিশ্বর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউপি সদস্যের হাতে এক মহিলাসহ ৩জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরুড়া থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল চারটায় গালিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ফয়েজ উল্লাহ, তার ছোট ভাই সানাউল্লাহ এবং পিতা আইয়ুব আলী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সফিকুর রহমানের জমিতে হাফেজ মোঃ আবুল খায়েরের উপর হামলা চালায়। এ সময় ইউপি সদস্য ফয়েজ, সানাউল্লাহর হাতে থাকা দেশীয় তৈরি ধারালো ছোরা, দা, চাপাতি, কোদাল, লাঠি সোটা, লোহার রড দিয়ে আবুল খায়েরের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতারি কিল ঘুসি, লোহার পাইপ দিয়ে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
আবুল খায়েরের চিৎকার শুনে বড় ভাই মাওলানা আবু হানিফ এগিয়ে আসলে ফয়েজ, সানাউল্লাহ ও আউয়ুব আলী তাদের হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করিলে শরীরের বিভিন্ন অংশে কাঁটা গুরুতর রক্তাত্ব জখম হয়। মোসাঃ আফরোজা আক্তার স্বর্ণা আবুল খায়ের ও আবু হানিফকে বাঁচাতে গেলে ফয়েজ, সানা উল্লাহ, আইয়ুব আলীসহ আরও ২/৩ জন চর-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাথি মারে।
স্বর্ণার পরিহিত জামা- কাপড়, চুলের মুষ্টি ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করেন। মোসাঃ তানজিনা আক্তারসহ আশেপাশের লোকজন ফয়েজ, সানা উল্লাহ, আইয়ুব আলীর কাছ থেকে আবুল খায়ের, আবু হানিফ ও স্বর্ণাকে উদ্ধার করে দ্রুত বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবুল খায়ের ও আবু হানিফের অবস্থা খারাপ দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্বর্ণাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আবুল খায়ের ও আবু হানিফ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আবুল খায়েরের ছেলে মোঃ ফয়সাল বাদী হয়ে শুক্রবার বরুড়া থানায় অভিযোগ করেন। বরুড়া থানায় অভিযোগ নম্বর ১২/২/২১ ইং তারিখের ২৩৯/২১।
অভিযোগকারী মোঃ ফয়সাল বলেন, আমার বাবা, চাচা ও ভাতিজির উপর এমন হামলায় আমি প্রশাসনসহ সকলের নিকট সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।