স্বাস্থ্য ডেস্ক: কোমর ব্যাথা পুরো পৃথিবী জুড়ে বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা। আমাদের জীবনযাপনের ধরন, কর্মস্থলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, সঠিক অঙ্গবিন্যাসের অভাব ইত্যাদি কোমর ব্যাথার জন্য দায়ী।
কোমর ব্যাথা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। আর এটি প্রায় সারা জীবনই ভোগায়। কোমর ব্যাথা থাকলে কিছু কাজ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত, নয়তো সমস্যাগুলো দিন দিন বেড়ে চলে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এগুলোর বিষয়ে চলুন কিছুটা জেনে।
ব্যায়াম বাদ দেবেন না
অনেকে ভাবেন, কোমর ব্যথা হলে ব্যায়াম করা যাবে না। ব্যায়াম কোমর ব্যথা কমাতে উপকার করে। ব্যায়াম পেশিকে শক্ত করে এবং গাঁটে, ডিস্কে সঞ্চালন বাড়ায়। তবে কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার জন্য উপযোগী হবে, সেটি ফিটনেস ট্রেইনারের কাছ থেকে জেনে নিন।
ভারী জিনিস তুলবেন না
ঘন ঘন ভারী জিনিস তোলা কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই যদি কোমর ব্যথা থাকে, তবে ভারী জিনিস একেবারেই তুলতে যাবেন না। ভারী জিনিস তোলার ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্য নিন।
বসার ধরন
বসার সময় অঙ্গবিন্যাস ঠিকমতো না থাকলেও কিন্তু কোমর ব্যাথা হয়। সব সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বসবেন না। সোজা হয়ে বসুন। আর অন্তত এক ঘণ্টা পর পর হলেও একটু হাঁটুন, বসার প্যাটার্ন পরিবর্তন করুন।
পরোক্ষ চিকিৎসা
অনেকে কোমর ব্যথা হলে ঘরেই চিকিৎসা করতে থাকেন। গরম বা ঠাণ্ডা পানির সেঁক দেন। এটি হয়তো সাময়িকভাবে আপনার ব্যথা কমাবে। তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা কমানোর জন্য প্রয়োজন ব্যায়াম এবং সঠিক অঙ্গবিন্যাস। চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে সঠিক ব্যায়ামটি এবং সঠিক অঙ্গবিন্যাসের ধরনটি বুঝিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে। তাই ঘরেই সব সময় চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
ব্যাথাকে অবহেলা নয়
ব্যাথাকে অবহেলা করবেন না। এক সপ্তাহের বেশি ব্যাথা থাকলে আর অপেক্ষায় থাকবেন না। অবশ্যই চিকিৎসক অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যান। প্রথম দিকেই চিকিৎসা নিলে পরে ব্যাথা বেশি বাড়বে না বা আপনি ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো জানবেন।