জনমত ॥
ঢাক-ঢোলের তালের নৃত্য মেতে উঠেছে ত্রি-মোহনার বুকে জেগে থাকা জনপদের শহর চাঁদপুর। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন ‘ইলিশের বাড়ি’। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বরণেই এত আয়োজন।
রবিববার সকাল থেকে ঢাক-ঢোলের তালের নৃত্যে মেতে ওঠে চাঁদপুর শহর। ‘শেখ হাসিনার আগমণ, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগানে মুখর শহর অলি-গলি পথ। তার সঙ্গে বাজতে থাকে আফ্রিকার বাঁশি ভুবুজেলা।
সকাল থেকে ‘শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার’ স্লোগানে মিছিল নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন স্টেডিয়ামে।
এই স্টেডিয়ামেই জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাঁদপুরবাসীর হাতে তুলে দেবেন ৪৭টি উন্নয়ন প্রকল্প। ভোটের ওয়াদা চাইবেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। প্রতিশ্রুতি দেবেন চাঁদপুরবাসীর জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করার।
শহরের মোড়ে মোড়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক। ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে স্বাগতম’ লেখা তোরণ। তোরণে উপর শোভা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা।
পুরো শহর জুড়ে পথে পথে ছেঁয়ে গেছে হরেক রকম ব্যানার-ফেস্টুনে। দীর্ঘ আট বছর পর প্রধানমন্ত্রীর চাঁদপুর সফরকে জাঁক-জমকপূর্ণ করতেই যেন সব আয়োজন। স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে পথে শুধু তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন।
‘নদী ভাঙন রোধে চাঁদপুর-হাইমচরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ’ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্যানার করেছেন কেউ কেউ।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উক্তি শোভা পাচ্ছে এ সব ব্যানার-ফেস্টুনে।
প্রচারণায় পিছিয়ে নেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ব্যানারে।
রবিববার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে মিছিলের পদচারণা। শহরের সরু পথ পেরিয়ে সব মিছিলের মোহনায় পরিণত হয় ইলিশ চত্বর।