বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
নিজে সচেতন হও; সন্তানদের সুশিক্ষিত কর; আর ওয়াক্তমত নামাজ আদায় কর। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের এই তিন পরামর্শ।
বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত ছিলেন তিনি। এশার আজানের পর নামাজ আদায় করতে পার্শ্ববর্তী গাঙ্গিনারপাড় মসজিদে যাওয়ার প্রক্কালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
৬ দিনের সফরে ময়মনসিংহে এসে ধর্মমন্ত্রী প্রতিদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই সেই দলীয় কার্যালয়ে। যা তার জীবনের রুটিন ওয়ার্ক ছিল।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তিনি। ময়মনসিংহে আওয়ামী রাজনীতির সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী। অভিভাবক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার একজন সফল সদস্য।
ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহনের পর ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের এই নেতাকে রাজধানীতেও থাকতে হয়। কিন্তু তার মন পড়ে থাকে ময়মনসিংহে। তাই সময় পেলেই এবং সরকারী কর্মসূচিতে তিনি ময়মনসিংহ এলেই পার্টি অফিস। ৫৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনের অভ্যাস। আওয়ামী লীগ অন্ত:প্রান নেতা-তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থকদের নিয়েই প্রাণবন্ত তিনি।
সম্প্রতি হজ্ব চুক্তি করতে সৌদী আরব সফর শেষে রাজধানীতে ফিরেন ধর্মমন্ত্রী। এরপর ময়মনসিংহ। আর ময়মনসিংহে আছেন আথচ আওয়ামী লীগ অফিসে যাবেন না-এটা হয় না। তাই গতপরশুর মতো গতকালও তিনি দলীয় অফিসে। নেতাকর্মীদের ভিড়ে। কিন্তু নামাজের সময় হলেই তিনি মসজিদে।
বৃহস্পতিবার নামাজে যাবার পথে সমবেত সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন-আমার ৩টা কথা মনে রেখো। এরপরই তিনি পরামর্শ দেন। তিনি এও বলেন পড়ালেখা করতে হবে শেষ রাতে। তখন মাথা ঠান্ডা থাকে।
এ সময় দলীয় পার্টি অফিসে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিল্লু, সাবেক দফতর সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু, জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার মো: রাহাত খান, মহানগর যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পাঠান, স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পান্না, জেলা যুবলীগ সদস্য পিন্টু সরকার, জনি, সাইদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মো: সব্যসাচী প্রমুখ। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মী পূর্ন ছিল পার্টি অফিস।