বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
‘যেতে নাহি দিব হায় তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর কবিতার চরণ দিয়েই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলমের বিদায় সংবর্ধনায় তার শূন্যতার অনুভবনীয় আবেগ উদ্দিপ্ত হয়ে বক্তব্য রাখছিলেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
বদলি জনিত কারনে ময়মনসিংহের পুলিশ প্রশাসনের সুদক্ষ ও সফল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন) নুরে আলম নারায়নগঞ্জে চলে গেলেন।
বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিকসহ সর্বস্থরের পৃথক পৃথক বিদায় সংবর্ধনা শেষে সোমবার পুলিশ লাইন্সে মাসিক কল্যান সভায় ফুল, ভালোবাসা আর আবেগআপ্লুতভরে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে তাকে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নুরে আলমের বিগত কর্মস্পৃহার প্রশংসা করে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ব্যবস্থাপনার কেন্দ্র বিন্দুতে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বটি পালন করেছে নুরে আলম।
তিনি বলেন, সে দক্ষতার মানদন্ডে অনেক দক্ষ। এবং সে অর্জনও করেছে অনেক কিছু। তিনি বলেন, কাছের মানুষগুলো কাছে থাকতে বুঝা যায় না। না থাকলে তার শূন্যতা অনুভব হয়। যেমন দাত থাকলে বুঝা যায় না। না থাকলে অনুভব হয়।
তিনি বলেন, আজ থেকে আমার কাছে একটি শূণ্যতা কাজ করতে শুরু করেছে। একজন জুনিয়র এর সবচাইতে বড় আর্জন সিনিয়রকে তার উপর নির্ভরশীল করে ফেলা। সেটি নুরে আলম করতে পেরেছে। ‘আমি তার শূন্যতা অনুভব করতে শুরু করেছি’।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এ দেশটা স্বাধীন করতে যারা রক্ত দিয়ে গেছে তারা আর ফিরে আসবে না। আমরা যেন তাদের আত্মত্যাগকে দেশের জন্য কাজ করে কিছুটা হলেও ঋণ সুধ করতে পারি। সে আদর্শ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাও কামনা করি।
‘চলে যাওয়া মানে শুধু প্রস্থান নয়’ কবিতার চরন দিয়ে পুলিশ সুপার যখন তার বক্তব্য শেষ করলেন তখন দরবার হলে পিন পতন নিরবতা। আর পাশে বসে আদর্শের মানুষটির আবেগময় কবিতায় বিদায়ী অভিভাষণ যেন হৃদয়কে নিংরে দিচ্ছিল নুরে আলমের।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম তার অনুভতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এর সাথে কাজ করতে পেরে নিজেকে সার্থক মনে করি। তিনি বলেন, স্যারের পূর্ন আলো পেয়ে তা কতটুকু প্রস্ফুটিত করতে পেরেছি জানি না। চেষ্টা করেছি। শিখেছি অনেক কিছু। সে আদর্শ ধারন করে পথ চলতে চাই।
অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের সর্বস্থরের কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।