অনেক আশা নিয়ে ক্যারিবীয় দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন প্রথমবারের মতো কোন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ডাক পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু দলের সঙ্গে থাকলেও মাঠে নামা হয়নি বাংলাদেশি এই তারকার।
সিপিএলে ত্রিনবাগো দুর্দান্ত খেললেও মিরাজকে সব কটি ম্যাচ দেখতে হয়েছে দূর থেকেই। প্রথমবারের মতো বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়া ১৯ বছর বয়সী অফ স্পিনারকে তাই ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে, কোনো ম্যাচের অভিজ্ঞতা না নিয়েই।
সামনে যেহেতু দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ, সিপিএল খেলতে মিরাজ ছুটি পেয়েছিলেন ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় আসা মিরাজ আগমি কাল থেকে যোগ দেবেন জাতীয় দলের অনুশীলনে।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএলে) দুর্দান্ত খেলছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। কাল সেন্ট কিটস ও নেভিসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছে তারা। ত্রিনবাগো যখন ম্যাচটা খেলছে, মিরাজ তখন দেশে ফেরার বিমানে।
ত্রিনবাগোর হয়ে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন শাদাব খান। পাকিস্তানি লেগ স্পিনার অসাধারণ খেলায় টিম কম্বিনেশনটা হয়তো ভাঙতে চায়নি দল। মিরাজের একাদশের বাইরে থাকাটা সে কারণেই। তবে সিপিএল থেকে শেখার অনেক কিছুই দেখছেন বাংলাদেশ দলের এই অফ স্পিনার।
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা ভালোই লাগল। বড় টুর্নামেন্টে। বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে আগে কখনো যাওয়া হয়নি। কাছ থেকে বড় বড় খেলোয়াড়কে দেখার সুযোগ হলো। আরো ভালো লাগত যদি ম্যাচ খেলতে পারতাম। পুরো মৌসুম খেললে হয়তো ম্যাচ পেতাম। টিম ম্যানেজমেন্ট এই মুহূর্তে টিম কম্বিনেশনটা ভাঙতে চায়নি।’
সিপিএল খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ দলের আরেক খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানকে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না। জ্যামাইকা তালওয়াসের হয়ে ৩ ম্যাচে ৩০.৫০ গড়ে করেছেন ৬১ রান, উইকেট নিয়েছেন ২টি। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৪৪ রান, যেটি পরে দারুণ ভূমিকা রেখেছিল দলের জয়ে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তাড়া থাকায় মিরাজের মতো সাকিবেরও শেষ সিপিএল-অধ্যায়। গত রাতে দেশে ফিরেছেন বিশ্বসেরা বাঁহাতি অলরাউন্ডার।